LIFLET
Fight For ST Reservation
আমরা জানি, আমাদের দেশকে “সমাজতান্ত্রিক” রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা সংবিধান তথা সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম ঘোষিত উদ্দেশ্য ও আদর্শ । বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে, অনাদিকাল থেকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আদিবাসী মানুষকে সভ্যতার অঙ্গনে, তাল মিলিয়ে ,তাদের আর্থ -সামাজিক অবস্থানের উন্নতি কল্পে সংবিধানে “সংরক্ষণ” ব্যবস্থার অবতারণা । সংরক্ষণ শিক্ষায়, চাকুরীতে, নির্বাচন ক্ষেত্রে । সেই সংরক্ষণ ব্যবস্থা আজ ঘোর সংকটে । চোখে পড়ার মতো অসংখ্য অ-আদিবাসী শ্রেণীর কিছু মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা (অবৈধ শংসাপত্র দাখিল করে) গ্রহণ করছেন। প্রকৃত আদিবাসীরা তাদের নিজ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে সংবিধান ঘোষিত উদ্দেশ্য যেমন ব্যর্থ হচ্ছে তেমনই রাষ্ট্রশক্তি তথা আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ FAKE ST শংসাপত্র বের করে অপরাধী হচ্ছেন । আবার সেই অপরাধে কলূষিত হওয়ার পরেও সংরক্ষণের সুযোগ নিয়ে পড়াশুনা করছেন । ডিগ্রী হাসিল করছেন , চাকরি করছেন, এমনকি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হচ্ছেন । ST সংরক্ষণ শুধুমাত্র আদিবাসীদের জন্য কিন্তু , কিছু অ-আদিবাসীরা তথ্য গোপন করে অসৎ পথে শংসাপত্র হাতিয়ে কিছু কাল যাবৎ সংরক্ষণে থাবা বসাচ্ছে । স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ST মেধা তালিকায় বিশ্বাস, মল্লিক, মণ্ডল, চক্রবর্তী, প্রামানিক, সেখ, সুলতানা, হালদার, দাস, রায়, কর্মকার, মাহাত, ভৌমিক প্রভৃতি পদবি ধারীদের আধিক্য সন্দেহ জাগায় । চাকরির প্যানেল লিস্টও এর ব্যতিক্রম নয় । ST দের দাবী প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করা ও NON ST দের ST হবার চক্রান্ত প্রতিরোধ করার জন্যই “পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি” র জন্ম । এটি একটি সামাজিক, ধর্ম- নিরপেক্ষ, অরাজনৈতিক, অ-লাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
উদ্দেশ্যঃ-
১) প্রকৃত ST রাসংরক্ষণের দাবীদার , তাদের দাবী প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করা ।
২) NONST দের FAKE ST হবার চক্রান্ত প্রতিরোধ করা ।
কার্যাবলীঃ-
১) সংরক্ষণ বিষয়ক দাবী পূরণে বিভিন্ন দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া ।
২) সন্দেহ জনক পদবীধারীদের ST শংসাপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযত অনুসন্ধান করানোর ব্যবস্থা করা ।
৩) পাঠরত ,চাকুরীরত FAKE ST দের খুঁজে বের করে, তাদের শংসাপত্র বাতিল ও শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা ।
৪) সংরক্ষণ বিষয়ক এই লড়াই আসলেই আইনি লড়াই, তাই সদস্য সংগ্রহ ও তহবিল সংগ্রহের কাজ চালানো ।
৫) ছোট ছোট সভা, সমিতি, মিছিল ,প্রচার সভার মাধ্যমে সচেতনতা বৃ্দ্ধি করা ও জনমত গড়ে তোলা ।
৬) সংরক্ষণের রোস্টার সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কিনা তার তদারকি করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা নেওয়া ।
৭) পশ্চিমবঙ্গের ৪০ টি সাব কাস্টের আদিবাসীদের একজোট করা, সংরক্ষণের সংকট সম্পর্কে অবগত করা ।
৮) বিভিন্ন সাব কাস্টের উপজাতি সংগঠনের সংগে সেতু বন্ধন করা ।
৯) আলোচনা সাপেক্ষে উপজাতিদের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করা ।
১০) প্রয়োজনে আলোচনা সাপেক্ষে বিচক্ষণ ব্যক্তিবর্গ দেরকেও সংরক্ষণ আন্দোলনে সামিল করা ।
১১) প্রয়োজনে আলোচনা সাপেক্ষে বিচক্ষণ ব্যক্তিবর্গ দেরকেও সংরক্ষণ আন্দোলনে সামিল করা ।
আহ্বানঃ– নিজ অধিকার রক্ষার তাগিদে সমস্ত উপজাতি বুদ্ধিজীবী ,সংগঠন, ছাত্র – ছাত্রী, চাকুরিজীবী, কৃষক-শ্রমিক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই , আন্দোলন করি ,আগামী প্রজন্মকে আশার আলো দেখাই। সুনিশ্চিত করি ST সংরক্ষণ প্রকৃত ST দের জন্য ।